
ডেমরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
‘দেশকে পরিবর্তন করতে হলে আগে সমাজ পরিবর্তন করতে হবে আল কোরআনের আলোকে’ এ স্লোগানে রাজধানীর ডেমরায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঈদ পুনর্মিলনী ও কোরআন বিতরণ ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের ৬৮ নং ওয়ার্ডের ডেমরা মধ্য থানা কমিটির আয়োজনে শুক্রবার সকালে স্টাফ কোয়ার্টার আলমস অডিটোরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দাওয়াতী পক্ষ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন গুলশান কমার্স কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন। ওই ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি মো. ওমর ফারুকের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. নুরুল ইসলাম বুলবুল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সাধারণ সম্পাদক, ডেমরা-কদমতলী-যাত্রাবাড়ী উন্নয়ন পরিষদের
চেয়ারম্যান ও ঢাকা-৫ আসন জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী মো. কামাল হোসেন, মহানগরী মজলিসে সূরা সদস্য, ডেমরা জোনের সহকারী পরিচালক ও ডেমরা মধ্য থানা আমির মো. আলী। বিজনেস ফোরাম পেশাজীবী পরিষদ যুব ফোরামের (ডেমরা) সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন থানা কর্ম পরিষদ সদস্য মাও. এনামুল হক, ডা. সাইদুল হক পাটওয়ারী, মোস্তফা মাহমুদ আরিফ, পারভেজ আলম ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ডেমরা থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরাসহ এলাকার বরেণ্য ব্যক্তিবর্গরা। এ সময় উপস্থিত এলাকাবাসীর মধ্যে আল কোরআন বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথি নুরুল ইসলাম বুলবুল তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশবাসী নানা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। আর এদেশে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলে দেশে এখনো সন্ত্রাস,চাঁদাবাজি,সুদ-ঘুষ, গুম-খুন ও শিশু ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। বিগত ৫৪ বছরে বাংলাদেশে কয়েক সরকারের পালা বদল হলেও আজও মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি। মানুষের কন্ঠ রোধ করা হয়েছে, কেড়ে নেওয়া হয়েছে সকল প্রকার অধিকার। শুধু প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্বৈরশাসন।
তিনি আরও বলেন,গত ৫ আগস্টের পর আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। তাই আমরা বৈষম্যহীন দুর্নীতি ও সন্ত্রাসমুক্ত রাষ্ট্র চাই। ছাত্র সমাজের ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান কে বাস্তবায়ন চাই। আর আল কোরআনের আইন প্রতিষ্ঠা না হলে সমাজে কখনোই ন্যায়-নীতি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। তাই জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ থেকে সকল প্রকার অন্যায় ও চলমান জুলুম-অত্যাচার বন্ধ করে আল কুরআনের আইন প্রতিষ্ঠিত করতে বদ্ধ পরিকর। তাই দেশবাসী সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করলে অবশ্যই আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠান শেষে জামায়াত ইসলামীর নিহত সকল প্রবীণ নেতা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ ছাত্র ও ফিলিস্তিনের গাজায় নিহত মুসলিমদের জন্য দোয়া করা হয়। আর মুসলিম উম্মার বিজয় প্রাপ্তির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।