জানা যায়, একটি মিডিয়া কনফারেন্সে যোগ দিতে কলম্বো যাওয়ার সময় বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন নূরুল কবির। আবার দেশে ফেরার সময়ও তিনি একই ভাবে হয়রানির শিকার হন। এশিয়া মিডিয়া ফোরাম ২০২৪-এ যোগ দিতে গত ১৮ নভেম্বর কলম্বো যান এবং গতকাল ঢাকায় আসেন তিনি।

আজ শনিবার তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে যখনই আমি বিদেশে যাই তখনই ঢাকা বিমানবন্দরে দেশটির ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আমাকে হয়রানি করে আসছে। হয়রানির মধ্যে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের আমার পাসপোর্ট নেওয়া, ভ্রমণের উদ্দেশ্য লেখা থাকলেও সে সম্পর্কে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা, প্রায় এক ঘন্টা অপেক্ষা করানো, গোপনীয়তা লঙ্ঘন করে আমার পাসপোর্ট পৃষ্ঠার ছবি তোলা ইত্যাদি। ফ্লাইট ছাড়ার কয়েক মিনিট আগে আমার কাগজপত্র ফেরত দেওয়া। তবে, ফেরার সময় কোনো ঝামেলা হয়নি। এবার, ১৮ নভেম্বর যখন আমি একটি মিডিয়া কনফারেন্সের জন্য বিদেশে যাচ্ছিলাম, আমি আশা করেছিলাম যে ঢাকা বিমানবন্দরে আমার হয়রানির দিন শেষ হয়েছে, অন্তত কিছু সময়ের জন্য হলেও। আমি ভুল ছিলাম. এবার বরং দ্বিগুণ হয়রানি করা হয়েছে। দেশ ছাড়ার সময় এক ঘণ্টা এবং ২২ নভেম্বর দেশে ফেরার সময় এক ঘণ্টা করে বসিয়ে রাখা হয়। দেশপ্রেমিক হওয়াটা দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সন্দেহের বিষয়। দেশের সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থা এবং সরকারে যারা তাদের তত্ত্বাবধান করে, তাদের দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন তুলতে বাধ্য হচ্ছি।’
এদিকে এ ঘটনার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘বিশিষ্ট সম্পাদক নূরুল কবির সম্প্রতি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। আমরা এই ঘটনার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। অন্তর্বর্তী সরকার দেশের কোনো সাংবাদিকের হয়রানি সহ্য করবে না। নূরুল কবির আমাদের অন্যতম সম্মানিত সম্পাদক, যুক্তির অগ্রণী কণ্ঠস্বর এবং তাঁর দীর্ঘ কর্মজীবনে সাংবাদিকতার নৈতিকতার একজন শীর্ষ স্থানীয় ব্যক্তিত্ব। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশদিয়েছেন।’