অপরাধ

অভিযোগে মামলা,ডেমরায় বাড়ীর সামনে প্রাচীর নির্মাণ

  প্রতিনিধি ২ জানুয়ারি ২০২৫ , ২:৫৯:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

মাহবুবুর রহমান ভূইয়া, ডেমরা, ঢাকা:

ডেমরায় সুলতানা ইয়াসমিন নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীর বাড়ী ও ঘরের সামনে উঁচু করে প্রাচীর নির্মাণ করায় ভুক্তভোগীরা ঘরে প্রবেশ করতে পারছে না অভিযোগ উঠেছে। প্রবাসীর স্ত্রীর কাছে দাবিকৃত দুই লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় অভিযুক্ত আজাদ মিয়া (৪০) এ প্রচীর নির্মাণ করেছে বলে জানিয়েছেন ওই ভুক্তভোগী নারী। গত ১০ ডিসেম্বর রাতে অভিযুক্ত আজাদ বাঁশেরপুল আমিনবাগ এলাকায় ইসমাইল আলীর বাড়ির সামনে জোরপূর্বক ওই প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেন। এ ঘটনায় ওই নারী আজাদ মিয়া’র বিরুদ্ধে  ডেমরা থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেন। এদিকে মামলা হলেও পুলিশ আজাদকে গ্রেফতার না করায় গত শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওই প্রাচীর নির্মাণের কাজ শেষ করেন। আর আজাদের সহযোগী বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা সঙ্গে থেকে ওই নারীকে হুমকি ধমকি দেওয়ায় সুলতানা ইয়াসমিন ও তার দুই মেয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

সুলতানা ইয়াসমিন জানান, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আজাদ বিদেশ থেকে এসেই তার কাছে দুই লক্ষ টাকার চাঁদা দাবি করেন গত ১০ ডিসেম্বর। ওই চাঁদা অস্বীকার করায় সুলতানা ইয়াসমিনকে মারধর করেছে। এ ঘটনায় গত ২০ ডিসেম্বর মামলা দায়েরের পর আজাদ পলাতক থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আজাদ ডেমরার বাঁশেরপুল এলাকার সামসুল হকের ছেলে।
তিনি আরও জানান, আমি আমার বাড়িতে এখন থাকতে পারছি না। আজাদ আমাকে নানা ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। বিগত প্রায় ৮ বছর আগে আমার স্বামী বাঁশেরপুল আমিনবাগ এলাকায় ১ কাঠা জমির ওপর আমাদের বাড়িটি করেন।  এদিকে আমার পাশের জমির মালিক আজাদ বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলো।
ডেমরা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১০ ডিসেম্বর রাতে আজাদ জোরপূর্বক প্রাচীর নির্মাণ করে তার স্ত্রীর কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় আজাদ ওই নারীকে বেধড়ক মারধর করে। এ সময় সুলতানা ইয়াসমিনকে প্রান নাশের হুমকি দিয়ে চলে যায় আজাদ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আজাদ বলেন, সুলতানা ইয়াসমিন হয়রানি করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। ওই মহিলা এক জন মামলাবাজ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। আমি দীর্ঘদিন যাবত বিদেশে ছিলাম। ছুটিতে বাড়িতে এসেছি ছুটি শেষে আবার চলে যাবো। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। আমি আমার জায়গায় দেয়াল নির্মাণ করেছি। আমি তার কাছে কোন চাঁদা দাবি করিনি এবং মারধর করিনি।

এ বিষয়ে বিষয়ে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান জানান, আমি বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বাদির আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি গ্রহণ করেছি। তারপরও আজাদ জোরপূর্বক প্রাচীর নির্মাণ করেছে। এক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশে ওই প্রাচীরের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারবে থানা পুলিশ।

আরও খবর

Sponsered content