প্রিন্ট এর তারিখঃ জুন ৮, ২০২৫, ১:৩৮ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ১০, ২০২৪, ৭:৩৭ পূর্বাহ্ণ
আজ শহীদ নূর হোসেন দিবস বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রাম-আন্দোলনে এক অবিস্মরণীয় দিন

হাছিনা আক্তার :
আজ ১০ নভেম্বর। শহীদ নূর হোসেন দিবস। বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রাম-আন্দোলনে এক অবিস্মরণীয় দি। ১৯৮৭ সালের এই দিনটি ছিল সামরিক স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ জনতার উত্তাল আন্দোলনের অগ্নিঝরা দিন। এ দিনে হাজারো প্রতিবাদী যুবকের সঙ্গে জীবন পোস্টার হয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল নূর হোসেনও। তাঁর বুকে-পীঠে উৎকীর্ণ ছিল ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’- এই জ্বলন্ত স্লোগান।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অকুতোভয় সেই যুবকের অগ্নিঝরা স্লোগান সহ্য হয়নি তৎকালীন স্বৈরশাসকের। স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেওয়া বাহিনী নির্বিচারে গুলি চালিয়ে তাঁর বুক ঝাঁজরা করে দেয়। গুলিতে আরও শহীদ হন যুবনেতা নুুরুল হুদা বাবুল ও কিশোরগঞ্জ বাজিতপুরের ক্ষেতমজুর নেতা আমিনুল হুদা টিটোও। নূর হোসেনের আত্মত্যাগ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন আরও বেগবান ও তিন জোটের সংগ্রাম অপ্রতিরোধ্য রূপ লাভ করে।
এই আন্দোলনের জোয়ারে ‘৯০ সালের শেষ দিকে ভেসে যায় স্বৈরাচারের তক্তপোষ। পতন ঘটে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের। দেশে কায়েম হয় দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন গণতন্ত্র। এর পর থেকে শহীদ নূর হোসেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠেন। এর পর থেকে প্রতিবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ নূর হোসেন দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। প্রতিবছরের মতো এবারও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শহীদের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, শহীদ নূর হোসেন স্কোয়ারে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন, আলোচনা সভা ও সেমিনার।
শ্রদ্ধা নিবেদন ছাড়াও জুরাইন কবরস্থানে শহীদ নূর হোসেন ও নুরুল হুদা বাবুলের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত করা হবে।
Copyright © 2025 আমাদের জাগরন. All rights reserved.