আন্তজার্তিক

আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে

  প্রতিনিধি ১০ জুন ২০২৫ , ৫:৫২:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

আ জা ডেক্স আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতির আশায় আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে একইসঙ্গে সৌদি আরবের চীনে সরবরাহ কিছুটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনাও বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

মঙ্গলবার (১০ জুন) সকালে লন্ডনের বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩৪ সেন্ট বা ০.৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭.৩৮ ডলারে। অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) ক্রুডের দাম বেড়েছে ৩৩ সেন্ট বা ০.৫ শতাংশ, নতুন দর ৬৫.৬২ ডলার। এর আগের দিন ব্রেন্ট ক্রুডের দাম উঠেছিল ৬৭.১৯ ডলারে, যা ছিল গত ২৮ এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ।

বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র-চীন আলোচনায় ইতিবাচক সাড়া ও যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী চাকরি প্রতিবেদনের কারণে বাজারে চাহিদা-ভিত্তিক উদ্বেগ অনেকটাই কেটে গেছে। পাশাপাশি, কানাডার দাবানলের কারণে উত্তর আমেরিকার তেল সরবরাহে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (০৯জুন) জানিয়েছেন, চীনের সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতি সন্তোষজনক এবং লন্ডনে থাকা তার টিমের কাছ থেকে তিনি ‘শুধু ভালো খবরই’ পাচ্ছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আলোচনায় চুক্তি হলে তা বৈশ্বিক অর্থনীতিকে চাঙা করবে এবং জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়াবে।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো জুলাই মাসে চীনে প্রায় ৪৭ মিলিয়ন ব্যারেল তেল পাঠাবে, যা জুন মাসের তুলনায় ১০ লাখ ব্যারেল কম। বিষয়টি ওপেক+ জোটের উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণার মধ্যেও চাহিদা ও সরবরাহে ভারসাম্য রক্ষার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

অনিক্স ক্যাপিটাল গ্রুপের গবেষণা প্রধান হ্যারি টচিলিনগুরিয়ান বলেন, ‘সৌদি আরবই যেখানে বেশি উৎপাদনে সক্ষম, সেখান থেকেও তেমন বৃদ্ধি না থাকায় বোঝা যাচ্ছে ওপেক+’র ঘোষণা বাস্তবে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না।’

জুলাইয়ে দৈনিক ৪ লাখ ১১ হাজার ব্যারেল উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে ওপেক+, যা তাদের চতুর্থ মাসের উৎপাদন বৃদ্ধির অংশ। তবে মে মাসে ওপেকের উৎপাদন সীমিত আকারেই বেড়েছে। ইরাক পূর্বের অতিরিক্ত উৎপাদনের ক্ষতিপূরণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম উৎপাদন করেছে।

এদিকে ইরান জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে শিগগিরই নিজস্ব পাল্টা প্রস্তাব দেবে। পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে এখনও দুই দেশের অবস্থানে ফারাক রয়ে গেছে। ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠলে তেলের বাজারে সরবরাহ বাড়বে, যা দামের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, বাণিজ্য আলোচনা, উৎপাদন বাড়ানো ও ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা-সব মিলিয়ে তেলের বাজার এখন তীব্র নজরদারিতে রয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content