শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত রাত তিনটার দিকে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন শনিবার দিবাগত গত রাত সাড়ে তিনটার দিকে গনমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে সরাসরি হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়েছে। তাকে সিসিইউতে রেখেই চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নীরিক্ষা করানো হবে।
এর আগে শনিবার গভীর রাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। রাতেই গুলশানের বাসা ফিরোজায় যান চিকিৎসকরা। সেখানে তাঁর স্বাস্থ্যের পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে রাতেই তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর খালেদা জিয়াকে রাত তিনটার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পরপরই তাঁকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।
৭৮ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস এবং কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন।
সর্বশেষ গত ১৩ মার্চ তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। এর আগে টানা পাঁচ মাস হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে গত ১১ জানুয়ারি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এরপর থেকে তিনি তার গুলশানের বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত বুধবারও (২৭ মার্চ) খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সেদিন শুরুতে তাকে হাসপাতালে ভর্তির কথা ভেবেছিলেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা। পরে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বাসাতেই তার চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মেডিকেল বোর্ড।
এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ার পর থেকে চিকিৎসকরা তাকে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন। বিএনপি প্রধানের পরিবারও বিভিন্ন সময়ে সরকারের কাছে অনুমতি চেয়ে আসছে। কিন্তু আইনমন্ত্রী বারবার বলেছেন, দুর্নীতির মামলায় সাজা স্থগিত করার শর্তে খালেদার মুক্তি হওয়ায় চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ নেই।