রাজনীতি

গণভবন রক্ষার জন্য কারফিউ জারির বক্তব্য অস্বীকার কাদেরের

  প্রতিনিধি ১ আগস্ট ২০২৪ , ১০:১৩:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

নিজের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যকে কিছু গণমাধ্যম ভুলভাবে উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,আমাদের কোনো বক্তব্য, মন্তব্য প্রকাশ করতে গিয়ে আপনাদের স্পেস সংকট থাকলে আমাদের কিছু বলার নাই। কিন্তু আমি বললাম, সেদিন ঢাকা জেলার একটি ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে। যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদের আরেকটা লক্ষ্য ছিলো গণভবন। আমি কখনো বলিনি, গণভবন রক্ষার জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। এটা আমার ওপর অন্যায়।

তিনি বলেন, জনগণের জানমাল রক্ষার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। গণভবন রক্ষার জন্য নয়।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সেতুমন্ত্রী।

কোটা সংস্কার আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদের মিছিলে ছদ্মবেশে ঢুকে জঙ্গিরা গুলি করেছে বলেও দাবি করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে হতাহত অনেকেই মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের মিছিলে অনুপ্রবেশকারী ঢুকে খুব কাছে থেকে তাদের গুলি করে। জঙ্গিরা ছদ্মবেশে আন্দোলনে ঢুকে কাছ থেকে গুলি করেছে। এ ঘটনা ঘটেছে বলেও আমাদের কাছে তথ্য আছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের প্রাণ শক্তি বাংলাদেশের জনগণ। কোনো প্রাণহানি আমাদের কাম্য নয়।

চলমান সহিংস কর্মকাণ্ড এখানেই শেষ, তা এই মুহুর্তে বলা যায় না মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে সহিংস কর্মকাণ্ড চলেছে এখানেই যে তার শেষ তা এই মুহুর্তে বলা যায় না। সহিংসতা এই মুহুর্তে দৃশ্যত স্বাভাবিক মনে হলেও এই জঙ্গিগোষ্ঠীর এখন যে নীরবতা, সেই নীরবতা তাদের পুনঃআক্রমণের পূর্ব প্রস্তুতি হতে পারে৷

সহিংসতা প্রতিরোধে আওয়ামী লীগ সতর্ক রয়েছে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, এখানো আমাদের যারা জনপ্রতিনিধি, তারা সতর্ক আছে। সারা বাংলাদেশে আমরা তাদেরকে সতর্ক থাকতে বলেছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখামাত্র গুলির নির্দেশনা, এ বিষয়ে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে৷ কোনো আন্দোলনকারীর ওপর গুলি করার নির্দেশনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কখনো দেওয়া হয়নি। সেনাবাহিনী কোথাও একটা গুলি ছুড়েছে, এ ধরণের তথ্য আমাদের জানা নেই। তারপরও তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে সব বের হয়ে আসবে৷ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীকে চিহ্নিত করা হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাব, নিরপরাধ কাউকে যেন হয়রানি করা না হয়৷

ড. মুহাম্মদ ইউনুস একটি বিবৃতিতে বাংলাদেশের ওপর হস্তক্ষেপ করার জন্য বিভিন্ন দেশের সরকার, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে। এ ধরণের বিবৃতি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহিতা পর্যায়ে পড়ে। এটা আন্তর্জাতিক আইনেরও চরম লঙ্ঘন।

তিনি বলেন, তিনি বাংলাদেশে একটা মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন দেশে আহ্বান জানিয়েছেন। তার এই কর্মক্রম বেআইনি। তার এ আহ্বান বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ছোট করেছে৷ দেশকে তিনি খাটো করেছেন। তিনি একজন নোবেল জয়ী। তার পক্ষে কি এটা শোভা পায়?

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে যখন মামলা চলমান আছে, তখন তিনি এ ধরণের কার্যক্রম করছেন। যা ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। বলেন, এ থেকেই বোঝা যায়, চলমান বিচার থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য তিনি এ ধরণের ষড়যন্ত্র করছেন। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আহমেদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ কেন্দ্রীয় কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content