অপরাধ

চট্টগ্রামে আইনজীবি আলিফ হত্যার প্রধান আসামি চন্দনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

  প্রতিনিধি ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৬:৩৫:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন থানার ওসি মো. শাহিন।

পুলিশ জানায়, ট্রেন থেকে নেমে ভৈরবের মেথরপট্টিতে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল চন্দনের। তিনি মামলার এক নং আসামি বলে পুলিশ জানায়। বর্তমানে চন্দনকে ভৈরব থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

গ্রেফতার চন্দন চট্টগ্রামের বান্ডেল রোডের সেবক কলোনির মেথরপট্টি এলাকার মৃত ধারীর ছেলে।

ওসি শাহিন মিয়া জানান, হত্যাকাণ্ডের পর মামলা হলে প্রধান আসামি চন্দনকে ধরতে চট্টগ্রাম ডিবি গত দুই দিন ধরে ভৈরবে অবস্থান করছিল। ডিবি জানতে পারে আসামি চন্দনের শ্বশুরবাড়ি ভৈরব এলাকায়। কিন্তু ডিবি তার খোঁজ পাচ্ছিল না। বুধবার তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারে তিনি ভৈরবে অবস্থান করছেন। এমন খবর জানানো হলে পুলিশ সন্ধ্যার পর থেকে ভৈরব রেলস্টেশনে অবস্থান নেয়। রাত ১১টার দিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে রেলস্টেশন এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

ওসি আরও জানান, চন্দন ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে রওনা হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ভৈরব রেলস্টেশনে নামেন। তার শ্বশুরবাড়ি ভৈরবের মেথরপট্টিতে। ট্রেন থেকে নেমে তিনি স্টেশনে ঘোরাঘুরি করছিলেন। তার ইচ্ছা ছিল রাত গভীর হলে শ্বশুরের বাসায় আশ্রয় নেবেন। এরইমধ্যে আমরা তাকে গ্রেফতার করি। বর্তমানে থানা হেফাজতে তাকে রাখা হয়েছে। গ্রেফতারের বিষয়টি চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারা এলেই চন্দনকে হস্তান্তর করা হবে।

গত ২৫ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজন ভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাশকে কারাগারে নিয়ে যায়।

বিক্ষোভকারীরা আদালত সড়কে রাখা বেশ কিছু মোটরসাইকেল ও যানবাহন ভাঙচুর করে। এরপর আদালতের সাধারণ আইনজীবী ও কর্মচারীরা মিলে তাদের ধাওয়া করে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রঙ্গম কনভেনশন হল সড়কে খুন হয় আইনজীবী আলিফ। সড়কে লুটিয়ে পড়া অবস্থায় তাকে বেশ কয়েকজন এলোপাথাড়ি মারধর করছে।

বর্বরোচিত ওই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামি করে চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। ওই ঘটনায় পুলিশ নয়জনকে গ্রেফতার করলেও প্রধান আসামি চন্দনকে খুঁজে পাচ্ছিল না। অবশেষে গতরাকে পুলিশের জালে ধরা পড়ে চন্দন।

আরও খবর

Sponsered content

আরও খবর: অপরাধ

বেনাপোল সীমান্তে অভিযান চালিয়ে পাঁচ লক্ষ টাকা মূল্যের বিদেশী মদ, ফেন্সিডিলসহ বিভিন্ন সামগ্রী আটক করেছে…বিজিবি

কথিত  সাংবাদিক রিয়াজ শশুর বাড়ির টাকা আত্মসাৎ করে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ উঠেছে 

খুলনায় স্কুল প্রধান শিক্ষককে গুলি করে হত্যাচেষ্টা

রূপগঞ্জে বয়োবৃদ্ধর চিকিৎসার ব্যয় বহন নিয়ে হাসপাতালে দু সংসারের লোকজনের মারামারি, সত্য গোপন রেখে সাংবাদিক রিয়াজের মিথ্যাচার

বিকৃত যৌনচার,ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমদ আকবর সোবহান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে ৭০টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ আদালতের