প্রতিনিধি ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৫:৪২:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতারক ইউনুছের কাছ থেকে জমি কিনে নিঃস্ব হয়েছেন জহুরা রানী। ২০১৪ সালে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মৌজায় সাড়ে ৪ শতাংশ জমি ইউনুছের কাছ থেকে ক্রয় করেন জহুরা রানী। ক্রয়ের ১০ বছর পর জহুরা রানী জানতে পারেন তার এই জমি একটি ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছেন প্রতারক ইউনুছ। জমি না পাওয়ার দুঃশচিন্তায় অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন জহুরা রানী। এদিকে প্রতারক ইউনুছ আলী বহাল তবিয়তে চিটাগাংরোড শিমরাইলের একটি মার্কেটে ঔষধের ফার্ম্মেসী দিয়ে প্রশাসনকে ফাঁকি ভেজাল ঔষধ বিক্রি করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকার মৃত মোঃ আলাউদ্দিনের মেয়ে ও মৃত মনিরুজ্জামানের স্ত্রী জহুরা রানী শিমরাইল মৌজাস্থিত সাড়ে ৪ শতাংশ নাল জমি তিনটি সাফ কবলা দলিলে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লার এলাকার মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে মোঃ ইউনুছ আলীর নিকট থেকে ক্রয় করেন। ক্রয়ের পর থেকে নিজ নামে নামজারী করে সরকারী খাজনাদী পরিশোধ করে জহুরা রানী জমিতে ভোগদখলকার আছেন। গত বছর ডিসেম্বর মাসে অগ্রনী ব্যাংক থেকে এ জমি ছাড়ার নোটিশ দেয়া দিলে জহুরা রানী জানতে পারেন উক্ত জমি ব্যাংকে বন্ধক রয়েছে।
এ জমি বিক্রয়ের পূর্বেই গত ২১ মে ২০০৯ইং তারিখে ইউনুছ আলী ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছেন। ইউনুছ আলী ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার সময় ব্যাংকের বরাবর বন্ধকী দলিল যার নং- ৩৫৪১ এবং পাওয়ার অব এ্যাটর্ন দলিল যার নং- ৩৫৪২ নং সম্পাদন করে দেয়। এ খবর শুনে জহুরা রানী হতবাক হয়ে যান। এক পর্যায়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। জহুরা রানী জানায়, জমিটি ক্রয়ের সময় ইউনুছ আলী মূল দলিল দেখাতে পারেনি। এ বিষয়ে সন্দেহ হলে ইউনুছ আলী নারায়নগঞ্জ সদর রেকর্ড রুমে তল্লাশী করে একটি দায়মুক্ত সদন দেন যার তল্লাশী রশিদ নং- ১৫৯২৫২, তারিখ- ২৯/১২/২০১৪ইং যেখানে উক্ত জমি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট দায়বদ্ধ নাই লেখা রয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় দৈনিকে উক্ত জমির অন্য কোন দাবীদার আছে কিনা তা জানতে বিজ্ঞাপন দেয়া হলেও কোন দাবীদার পাওয়া যায়নি। এরপর ইউনুছ আলী উক্ত জমির মূল দলিল হারিয়েছে মর্মে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি জিডি করেন যার নং- ১৫১০, তাং- ৩১/১২/২০১৪ইং। প্রতারক ইউনুছ সবকিছু গোপন রেখে কৌশলে এসব কাজ সম্পাদন করে জমিটি আমার কাছে বিক্রি করেন যা আমি কোন ভাবেই বুঝতে পারিনি। বর্তমানে উক্ত জমিটি ফিরে পেতে জহুরা রানী প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতারক ইউনুছ আলীর বাড়ী নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়ার ইজাকান্দি এলাকায়। ওই এলাকায়ও তার বিরুদ্ধে নানা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে সে বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিল নতনু মহল্লা এলাকায় বসবাস করছে। তার চিটাগাং রোডের শিমরাইলে একটি ঔষধের ফার্ম্মেসী রয়েছে। সে ওখানে নানা প্রতারণা করছে। প্রশাসনের চোক ফাঁকি দিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ, স্যাম্পল ঔষধসহ ভেজাল ঔষধ বিক্রির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা তাকে দ্রæত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে।