
ডেমরা (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর ডেমরায় ১৮ দিনের ব্যবধানে পার্শ্ববর্তী এলাকায় ফের চাঞ্চল্যকর সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে রাজাখালি এলাকার হাফেজ ইব্রাহিমের বাড়িতে এ ডাকাতি হয়। এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র হাতে আসা ১৫/১৬ জনের ডাকাত দল হাফেজ ইব্রাহিম, তার ছেলে শরিফ ও তিন ফ্ল্যাটের ভাড়াটিয়া ৩ জন হাত পা বেঁধে প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। এ সময় ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ৩ ফ্ল্যাটেই বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেয়। এ ঘটনায় ডাকাতরা নির্বিঘ্নে ৪০ মিনিটের বেশি সময় ধরে ডাকাতি করে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এদিকে ডাকাতরা চলে যাওয়ার পর ডেমরা রামপুরা সড়কে টহলরত থানা পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। তবে ডাকাতরা একই রাস্তা দিয়ে পুলিশদের অতিক্রম করলেও তাদের সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ সদস্যরা।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গত ৪ এপ্রিল ভোররাতে আমুলিয়ার ৩০২ মোগলনাদা এলাকায় শাহাদাত হোসেনের বাড়ীতে একইভাবে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় ভুক্তভোগী শাহাদাত হোসেন নামে ওই ব্যবসায়ীর বাসা থেকে নগদ ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোনসহ মোট ১৪ লক্ষ টাকার সম্পদ লুট করেছে অজ্ঞাতনামা ডাকাতদল। প্রাথমিকভাবে ভুক্তভোগীদের ধারণা একই ডাকাত দল একইভাবে ১৮ দিনের ব্যবধানে পাশের এলাকায় ডাকাতি করেছে। এই ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল ডেমরা থানায় ডাকাতির শিকার শাহাদাত হোসেন ভূইয়া অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী হাফেজ ইব্রাহিমের ছেলে শরীফ জানান, গত মঙ্গলবার দিবাগত ভোররাতে অজ্ঞাতনামা ১৫/১৬ জন সশস্ত্র ডাকাত রামদা ও ছুরি নিয়ে তাদের বাসায় প্রবেশ করে। এ সময় ডাকাতদল বাড়ির সবাইকে হুমকিসহ ভয়থীতি প্রদর্শন করে কয়েকজনকে বেঁধে ফেলে। পরবর্তীতে ডাকাতরা আলমারি, ওয়ার্ডড্রপ ও অন্যান্য আসবাবপত্রের তালা ভেঙে নগদ টাকা ও সোনালংকার নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীরা দাবি করেন, ডাকাতদের বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত। কেউ থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্ট, লুঙ্গি ও ফুলপ্যান্ট পরিহিত ছিল এবং তারা সবুজবাগ/খিলগাঁও বা রুপগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, বাইরে আরও কয়েকজন সহযোগী ছিল।
এ বিষয়ে ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, ঘটনার পর থেকেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বুধবার রাতে ডাকাতের বিষয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা আদায় করা হয়েছে। সিসি ফুটেজ ও স্থানীয় সূত্রে ডাকাতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।