জাতীয়

নির্বাচনটা ভালো হয়েছে কী খারাপ সেটা আমাদের বিবেচন্য বিষয় না

  প্রতিনিধি ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ১২:১৬:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনটা ভালো হয়েছে কী খারাপ হয়েছে সেটা আমাদের বিবেচন্য বিষয় না। সামনে আরো অনেকগুলো নির্বাচন আছে, উপ-নির্বাচন, সেগুলোকেও খাটো দেখার অবকাশ নেই।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আরএফইডি’র নবনির্বাচিত কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ ও বিদায়ী কমিটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন,ক্ষমতা নয় দায়িত্বটিই আমাদের গ্রহণ করতে হয়। ক্ষমতা শব্দটিকে যদি আমরা পরিহরা করতে পারি তাহলে দেশে সমাজ অনেক বেশি এগিয়ে যেতে পারে।গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে লম্বা বক্তৃতা দেওয়া প্রয়োজন নেই। অনেক সময় কিন্তু রাষ্ট্রের স্তম্ভগুলো কাজ করে না, তখন সবগুলো কাজ গণমাধ্যম একাই করে সমাজকে বাঁচিয়ে রাখে। যদি গণমাধ্যমে সেই জায়গায় যায় যে শূন্যস্থান…সেখানে এগিয়ে এলে জবাবদিহিতা আরো নিশ্চিত হয়।

তিনি বলেন,গণমাধ্যমকে আমরা পছন্দ করি না বা ঘৃনা করি। যখন আমরা প্রশংসা করা হয় তখন ভালো লাগে। কিন্তু আমাকে জানতে হবে প্রশংসা নয়, সমালোচনার জায়গায় সমালোচনা করতে হবে। সমালোচনার জায়গায় ছাড় দেওয়া যাবে না। এই সাহসী ভূমিকা গণমাধ্যমের পালন করতে হবে। এটাই গণমাধ্যমের ভূমিকা। দেশের গণমাধ্যমের প্রতি যথেষ্ট আস্থাশীল। অনেক পেপার পত্রিকা পড়ি, চ্যানেলগুলো দেখি-আমাদের গণমাধ্যমের ভূমিকা যে খুব নেতিবাচক তা বলা যাবে না। আমি তখনই ক্ষুব্ধ হয়ে যাই, যখন আমার বিরুদ্ধে কিছু থাকে। এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে, যে আমার বিরুদ্ধে বা সরকারের বিরুদ্ধে থাকলেও গণমাধ্যম সাহসী ভূমিকা পালন করবে।

সিইসি বলেন,অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার গুরুত্ব আছে। বিশ্বের দিকে যদি দেখি ক্ষমতার যে শক্তি সেই শক্তি যে কত বড় শক্তি তা আমরা গাজাতে দেখেছি। গণমাধ্যম আমাদের জাগ্রত করে রেখেছে। আমরা অনেক সময় চোখের পানিও ফেলি। গণমাধ্যম যদি ব্লাকআউট করে দিতো তাহলে গাজাতে কী হচ্ছে আমরা জানতাম না।

তিনি আরও বলেন,নির্বাচনটা ভালো হয়েছে কী খারাপ হয়েছে সেটা আমাদের বিবেচন্য বিষয় না। সামনে আরো অনেকগুলো নির্বাচন আছে, উপ-নির্বাচন, সেগুলোকেও খাটো দেখার অবকাশ নেই।তৃণমূল পর্যায়ে নেতৃত্ব গড়ে তোলার যে দায়িত্ব,সেখানে যদি নেতৃত্ব যদি শক্তিশালী না হয়, তাহলে জাতীয় পর্যায়েও নেতৃত্ব শক্তিশালী হবে না। তৃণমূলের সংস্থাগুলোয় নেতৃত্ব গড়ে তোলার প্রয়োজন আছে। সেখানেও গণমাধ্যমের ভূমিকা আছে। সেখানে গণতন্ত্র কতটা কাজ করছে, কতটা কাজ করছে না, এগুলো তুলে আনতে হবে।

তিনি বলেন,বস্তনিষ্ঠতা, এটা খুব কাম্য। আরেকটা হচ্ছে অতিরঞ্জিত, এটাকে আমি মন্দভাবে দেখিনা। অতিরঞ্জনের মধ্যে সাহিত্যের উপদান থাকে, কিন্তু বিকৃত হলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়। মিস ইনফরমেশন, অতিরঞ্জন হতে পারে। কিন্তু বিকৃত হলে মানুষ বিভ্রান্ত হয়।জনগণকে সচেতনা করা যে কমিশন কতটা দায়িত্ব পালন করেছে। সরকার কতটা সহয়াতা করছে কী কি করছে না, এগুলো প্রচার হলে সচেতনা ও দায়িত্ববোধ গড়ে ওঠে।

আরও খবর

Sponsered content