প্রতিনিধি ১ অক্টোবর ২০২৪ , ৬:০৩:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক পঞ্চগড় :
পঞ্চগড় সদর থানার (উপ-পুলিশ পরিদর্শক) এস আই মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে এক ভুক্ত ভোগী পরিবার। ভক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা পঞ্চগড় সদর উপজেলার জগদল বাজারের নিজ বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে নুরুজ্জামান বলেন, ,গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে আমি আমার পরিবার নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছিলাম, আমি নামাজের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলাম এমন সময় পঞ্চগড় সদর থানার এস আই মোস্তাফিজুর রহমান সিভিল পোশাকে আরও ৫ জন পোশাকধারী পুলিশ কনস্টেবল নিয়ে আমার বেড রুমে প্রবেশ করে । আমাকে দেখে এস আই মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই ব্যাটা চল, তোকে থানায় নিয়ে যাব, থানায় নিয়ে গিয়ে বাশডোলা দিব। আমি কখনও এমন ঘটনার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না, এস আই মোস্তাফিজুর রহমান বাকি কনস্টেবলদের বলেন , ওকে নিয়ে চল। আমি আমার অপরাধের কথা জানতে চাই, এমনকি আমার নামে কেউ অভিযোগ করেছে কি না, বা কোন মামলার ওয়ারেন্ট আছে কিনা? আমার কথা না শোনে এস আই মোস্তাফিজুর রহমান আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে বলেন, তোকে আমি দেখা করতে বলেছিলাম কিন্তু তুই দেখা করিস নি কেন? তোকে গ্রেফতার করতে কোন মামলা বা ওয়ারেন্ট লাগবে না, আমিই মামলা আমিই ওয়ারেন্ট। ইতিমধ্যে আমার স্ত্রী রাবেয়া্ ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে জানতে চায় স্বামীর অপরাধের কথা, সাথে সাথে এ্স আই বেপোরোয়া হয়ে আমার সামনে আমার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমার বৃদ্ধ “মা” নুরজাহান বেগম নামাজ রত অবস্থায় চিৎকার চেচামেচি শুনে আমার বেড রুমে এসে এস আই মোস্তাফিজুরের পা ধরে, জানতে চায় যে আমার ছেলের অপরাধ কি ? ওকে কেন নিয়ে যাওয়া হবে, বা কেউ অভিযোগ করেছে কিনা? এস আই মোস্তাফিজুর আমার মাকেও অপমান করে বৈষম্য ব্যবহার করেছে। এরপর তার নির্দেশমত কনস্টেবলরা জোর করে আমাকে হাতকড়া লাগিয়ে আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের করে। ঘর থেকে বের করে নিয়ে যাওয়ার সময় আমার স্থানীয় প্রতিবেশী, এলাকাবাসী এস আই মোস্তাফিজুরের কাছে জানতে চায়, কেন আমাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ? আমার বিরুদ্ধে কোন মামলার ওয়ারেন্ট বা কোন অভিযোগ আছে কিনা। এ্স আই মোস্তাফিজুর কোন পেপারস দেখাতে না পেরে এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়ে। এরপর আমাকে হুমকি দিয়ে বলে ব্যাটা তোকে দেখে নিব, তোকে মামলায় ফাসিয়ে দিব বলে আমাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। এর পর আমি বিষয়টি লিখিত ভাবে পুলিশ সুপার মহোদয় ও সেনাবাহিনীর অধিনায়ক বরাররে লিখিত অভিযোগ প্রদান করি। অন্যায় ভাবে আমাকে ও আমার পরিবারকে হুমুকি দিয়ে আমাকে মামলায় ফাসানোর ভয় দেখিয়ে আমার পরিবারকে অপমান করে আমার সামাজিক আত্মসম্মান নষ্ট কারী যে পুলিশ সদস্যরা এমন অস্বাভাবিক ঘটনার সাথে জড়িত আমি তাদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করছি। এ বিষয়ে এস আই মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে ফোন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ কারী বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, ১৪৪, ১৪৫ ও ১৮৮ ধারায়। তাদের ভাইদের মধ্যে র্দীঘদিনের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে, আদালতের নিদের্শনা অমাণ্য করে অভিযোগ কারী নুরুজ্জামান ঘর নির্মাণ করতে গেলে বাদীপক্ষ (জমির উদ্দিন) থানায় অভিযোগ করে পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জের নির্দেশনা মতে আমি অভিযোগকারীর বাড়িতে যাই। এবং ভদ্রতা ভাবে আদালতের নির্দেশ মানার অনুরোধ করি। কিন্তু তারা নিজেরাই মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে। এর বিরুদ্ধে আমি থানায় একটা জিডি ও করেছি।