বিনোদন

বাফায় ওস্তাদ ড.হারুন অর রশীদ এর স্বরণে উচ্চাঙ্গ সংগীতের আয়োজন

  প্রতিনিধি ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ১:৫৩:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

মো: মোশারফ হোসেন মুসাহিদ, ঢাকা; ঢাকা ৭ ওয়াইজঘাট বুলবুল ললিতকলা একাডেমি অব ফাইন আর্টস বাফায় ওস্তাদ ড.হারুন অর রশীদ এর স্বরণে উচ্চাঙ্গসংগীতের আয়োজন করা হয় ২০২৪,০২/২৩. অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ড.মুশাররাট শবনম,অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান(দর্শন) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। ত্রিশাল,ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রী স্বপন কুমার হালদার,সুরকার ও শিল্পী বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন।উপ-পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) সমাজসেবা কার্যালয়, আগার গাঁও, ঢাকা। সভাপতিত্ব করেন বাপা গিটার গুরু,জনাব হাসানুর রহমান বাচ্চু। শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদান্তে মোঃ ফজলুর রহমান,সম্পাদক, বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টস (বাফা)

উচ্চাঙ্গ সংগীত বলতে, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতকেই বুঝানো হয়। প্রাচীনকাল থেকেই এই সংগীতের সৃষ্টি। সাতটি স্বরের মাধ্যমে, বিভিন্ন রাগ রাগিণীর রূপকে ফুটিয়ে তোলাই, উচ্চাঙ্গ সংগীতের মুখ্য বৈশিষ্ট্য। রাগ সাতটি সুর সা-রে-গা-মা-পা-ধা-নি এবং ২২ টি শ্রুতির সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পরিবেশনা হয় মূলতঃ দু’ভাবে, কন্ঠে ও বাদ্যযন্ত্রে। সংগীত কে প্রথম তৈরি করেন?
সংক্ষিপ্ত উত্তর হল: কেউ জানে না কে সঙ্গীত আবিষ্কার করেছে । কে প্রথম গান গেয়েছিল, বা প্রথম সুর বাজায়, বা প্রথম ছন্দময় ধ্বনি তৈরি করেছিল যা আমরা আজকে সঙ্গীত হিসাবে যা জানি তার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তা বলার জন্য কোনও ঐতিহাসিক প্রমাণ নেই। কিন্তু গবেষকরা জানেন যে এটি হাজার হাজার বছর আগে ঘটেছিল।

পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা। প্রখ্যাত এই সন্তুরশিল্পী এসেছিলেন ঢাকায়। বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসবে তাঁর পরিবেশনা মুগ্ধ করেছে দর্শক-শ্রোতাদের। ওই সময়ে এক ভিবরিতিতে বলেছিলেন বাংলাদেশের আলো-হাওয়া… বাংলাদেশ হলো গানের দেশ। উচ্চাঙ্গসংগীতের কথা যদি বলি, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খান, আলী আকবর খান—তাঁরা তো সবাই এই দেশেরই মানুষ। যন্ত্রসংগীতকে সমৃদ্ধ করেছেন তাঁরা। উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতকে আজকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসার পেছনে তাঁদের অবদান রয়েছে অনেক। আরেকটি কথা, আমার মনে হয়, বাংলাদেশের আলো-হাওয়ায় গান আছে, সুর আছে। ফলে গানবাজনার প্রতি এখানকার মানুষের উৎসাহও প্রবল।
সন্তুর এবং সন্ধান…
সন্তুর আমার কাছে উপাসনার মতো। এই বাদ্যযন্ত্রটি যখন আমার হাতে থাকে, তখন কি আমি পৃথিবীতে থাকি? কে যেন মরমি কণ্ঠে ডেকে যান আমাকে। সন্তুরের মাধ্যমে আমি তাঁর সন্ধান করি। এই যন্ত্রে একটি নতুন সুর যখন সৃষ্টি হয়, আমি তাঁকে দেখতে পাই যেন!
উচ্চাঙ্গসংগীতে নতুন বাতাস…

এখন সারা বিশ্বেই নতুন করে শুরু হয়েছে উচ্চাঙ্গসংগীতের জনপ্রিয়তা। এ ধারার সংগীত কোনো আবদ্ধ বিষয় নয়, এটা সবাই বুঝতে শুরু করেছেন। এই সংগীতের মূল বিষয় ঠিক রেখে যুগোপযোগী নতুন নতুন সুর সৃষ্টি করছেন অনেকেই। এটা কিন্তু খুব সখের বিষয়। আমি মনে করি, যেকোনো ধরনের সংগীত তার ঐতিহ্যকে সঙ্গী করে বর্তমানের মধ্যেই বেঁচে থাকবে।
আমার আশা ও প্রথমবার যখন বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসংগীত উৎসব হয়, আমি এসেছিলাম সেই উৎসবে। আমি তো রীতিমতো অভিভূত হয়েছি সে সময়। উচ্চাঙ্গসংগীতের প্রতি মানুষ—বিশেষত তরুণেরা যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, এক কথায় সেটি বিস্ময়কর! আমি মুগ্ধ—এখানকার শ্রোতাদের সমঝদারিত্বও আমার মন ছুঁয়ে গিয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও এসেছি।
বাংলাদেশের যা কিছু ভালো…
বাংলাদেশের মানুষের আন্তরিকতা আর আতিথেয়তায় আমি মুগ্ধ। মানুষগুলো এত সরল-সাধারণ ও সংগীতপ্রেমী! এ ছাড়া এখানকার সবার মধ্যে বিনয় আছে—এই বিষয়টিও ভালো লেগেছে।

আরও খবর

Sponsered content