রাজধানী

বিএনপি নেতা পরিচয়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি থানায় অভিযোগ করেও সহযোগীতা পচ্ছেন না ভুক্তভোগী নারী

  প্রতিনিধি ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৮:৫৪:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

মাহবুবুর রহমান ভূইয়া ও রাসেল খান,যাএাবাড়ী,ডেমরা ঢাকা:
রাজধানী ডেমরায় দাবিকৃত ২ লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে সুলতানা ইয়াসমিন (৩৪) নামে এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে নামধারি এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে অভিযুক্ত আজাদ মিয়ার (৪৫) বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে ডেমরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে ডেমরা থানা থেকে কোন প্রকার আইনি সহযোগীতা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছে ওই নারী। গত মঙ্গলবার বিকালে সন্ত্রাসী আজাদ বাঁশেরপুল আমিনবাগ এলাকায় প্রবাসী ইসমাইল আলীর বাড়ির সামনে প্রাচীর নির্মাণ করে তার স্ত্রীর কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় অভিযুক্ত আজাদ ভুক্তভোগী সুলতানা ইয়াসমিনকে বেধড়ক মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।

সুলতানা ইয়াসমিন জানান, বিগত প্রায় ৮ বছর আগে আমার স্বামী বাঁশেরপুল আমিনবাগ এলাকায় ১ কাঠা জমির ওপর বাড়ি করেন যেখানে আমরা বসবাস করি। এদিকে বিএনপি নামধারি আজাদ গত ৫ আগস্টের পর আমার কাছে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলো। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে গত মঙ্গলবার বিকালে আজাদ আমাকে বেধড়ক মারধরসহ চুল টেনে বাসা থেকে বের করে দেয়। এ ঘটনায় প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরে বিস্তারিত আমার স্বামীকে জানিয়ে মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসা শেষে আমি পিত্রালয়ে গিয়ে বাবার সঙ্গে ডেমরা থানায় মামলা করতে যাই।

তিনি আরও জানান, ওই রাতেই ডেমরা থানার ওসি আজাদকে থানায় ডেকে উল্টো আমাকে তার বিরুদ্ধে কথা না বলার নির্দেশ দেন। পরে আমি মামলা করতে চাইলে ওসি মামলা নেননি। বর্তমানে অবৈধভাবে আমাদের জায়গায় আজাদের নির্মাণ করা প্রাচীরের কারণে বাসায় প্রবেশ করা যাচ্ছে না। আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।এ ঘটনায় মুঠোফোনে একাধিকবার জনৈক আজাদকে ফোন করলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে ডেমরা থান ওসি মো. নাজমুল হোসাইন বলেন, একই প্লটের জায়গা ভাগ করে কিনেছে অভিযুক্ত আজাদ ও প্রবাসী ইয়াছিন আলী। আজাদ তার জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছেন। কিন্তু ওই নারীর অভিযাগ তাদের রাস্তা বন্ধ করছে আজাদ। এদিকে ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ইয়াসমিনকে সহযোগীতা করেছে। এখন জায়গার প্রকৃত মালিকানা ও প্রাচীর নির্মাণ বন্ধের বিষয়ে আদালতের নির্দেশ জরুরী।

আরও খবর

Sponsered content