সারাদেশ

লালমোহনে বিএনপির দুগ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহত ১০

  প্রতিনিধি ১৮ নভেম্বর ২০২৪ , ১২:৩৮:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ

আকবর জুয়েল, লালমোহন, ভোলা:
ভোলার লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের দেবিরচর বাজারে বিএনপির দুগ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুগ্রুপেরই ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এরমধ্যে গুরুতর আহত ৫ জনকে লালমোহন হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, বদরপুর ইউনিয়নের বিএনপির (উত্তর) সভাপতি শহিদুল্যাহ মেলকার গ্রুপ ও সাবেক বিএনপির নেতা কামাল হুইচ গ্রুপের মধ্যে সোমবার ভোরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শহিদুল্যাহ মেলকারের লোকজন দা, ছেনি, রড ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে কামাল হুইচ গ্রুপকে আক্রমন করে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন গুরুতর আহত হন।
দেবির চর বাজারের সাবেক বিএনপির নেতা কামাল হুইচ জানান, গত ৫ আগস্টের পর শহিদুল্যাহ মেলকার ও তার লোকজন দেবিরচর এলাকায় বিভিন্ন চাঁদাবাজী শুরু করে। এলাকার নুর ইসলামের কাছ থেকে শহিদুল্যাহ মেলকার ৫লক্ষ টাকা চাঁদা নেন। আমরা এর প্রতিবাদ করলে শহিদুল্যাহ মেলকার ও তার লোকজন আমার ঘরবাড়ি ভাংচুর করে। পরে আমি বিএনপির উপজেলা নেতৃবৃন্দকে জানালে তারা দু‘পক্ষকে মিলিয়ে দেয় এবং চাঁদার টাকা উপজেলা নেতৃবৃন্দের কাছে জমা দেয়। এনিয়ে তার সাথে আমার বিরোধ তৈরী হয়। আমি দেবিরচর বাজার ইজারাদার আসাদ মেলকার থেকে বাজারের খাজনা উঠানোর জন্য কিনে নেই। শহিদুল্যাহ মেলকার আমাকে বাজারের খাজনা উঠাতে দেয় না। তারা বিভিন্ন বাধার সৃষ্টি করে। শহিদুল্যাহ মেলকার নিজে ও তার লোকজন আমাদেরকে বাজারে খাজনা উঠাতে দিবে না এবং আমাদেরকে মারার জন্য গতকাল বিভিন্ন এলাকা থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে দেবিরচর আনে। বিষয়টি আমি জানার পর গতকাল রাতে লালমোহন থানায় অবহিত করি। থানা থেকে আমাকে বলা হয়েছে সমস্যা হলে তাদেরকে জানাতে। এরপর সোমবার সকালে শহিদুল্যাহ মেলকার ও তার লোকজন আমাদের লোকজনের উপর হামলা করে। আমরা লালমোহন থানা ও নৌবাহিনীকে অবহিত করি। তারা আসার পূর্বেই দু‘পক্ষের মধ্যে মারামারিতে আমাদের মনজু হাওলাদার, রশিদ হাওলাদার, হাচান কবির সুইচ গুরুতর আহত করে। তাদেরকে লালমোহন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযোগের ব্যাপারে বদরপুর ইউনিয়ন উত্তর বিএনপির সভাপতি শহিদুল্যাহ মেলকারের মুঠোফোনে কলদিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি কল কেটে দেন। পরে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেবিরচর বাজারের ইজারাকে কেন্দ্র করে মূলত অনেকদিন পর্যন্ত সমস্যা চলছিল। বিএনপির নেতৃবৃন্দ তাদেরকে মিমাংশা করার একাধিকবার চেষ্টা করেছে। এটাকে কেন্দ্র করে আজ সকালে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ দাখিল করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content