অপরাধ

সম্পত্তি আত্মাসাৎ করতে ৭০ বছরের বৃদ্ধা মা’কে অমানবিক নির্যাতন

  নিজস্ব প্রতিবেদক ৩ মে ২০২৪ , ২:৪৩:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

সম্পত্তি আত্মাসাৎ করতে মা সাহানা বেগম(৭০)কে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে পাষণ্ড ছেলের বিরুদ্ধে।


জানাযায়, ঢাকার মুগদা থানার মান্ডা মেইন রোড আসাদ টাওয়ারের ৯ম তলায় বাসিন্দা মৃত ফজলুল হকের ছেলে আরিফুল হক সুমন( ৪৫) তার আপন মা সাহানা বেগম( ৭০) কে রামগতি লক্ষীপুর থেকে গত তিন মাস পূর্বে কাউকে না জানিয়ে জোর পূর্বক তুলে ঢাকায় নিয়ে আসেন। পরে দীর্ঘ কয়েক মাস ঢাকায় বাসায় বন্দী করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে তার সম্পত্তি লিখে নেয়ার প্রবল চেষ্টা করেন। তার সৎ বাবা আবুল খায়ের তার স্রী সম্পর্ক জানতে চাইলে সৎ ছেলে সুমন কোন ঠিকানা না দিয়ে অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি ধামকি প্রদান করেন। আবুল খায়ের স্ত্রীর কোন খোঁজ খবর না পেয়ে মুগদা থানায় গত ১৭ এপ্রিল ২৪ তারিখে সাধারণ ডায়েরি করেন, যার নং৭২৯।গত ২৫ এপ্রিল ২৪ তারিখে তার ছোট ছেলে শুখনকে সুমন ও তার সহযোগি মোশারফ হোসেন মোবাইল ফোনে হুমকি ধামকি,অকাথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মেরে ফেলার হুমকি দিলে মুগদা থানায় আরেকটি জিডি তার ছোট ভাই শুখন করেন, যার নং ১০৪১।এর কয়েক দিন পর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিট্রেট মহানগর ঢাকা আদালতে মামলা দায়ের করা হয়ে।

এবিষয় সৎ বাবা আবুল খায়ের সাংবাদিকদের বলেন, আরিফুল হক সুমন তার মা সাহানা বেগমকে জোর পূর্বক গ্রাম থেকে ঢাকার মুগদা থানার বাসা বাড়িতে আটক রেখে সম্পত্তি জন্য তার মাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন অব্যাহত রাখেন । অকাথ্য ভাষায় গাল মন্দ, হুমকি ধামকি মেরে ফেলার ভয় ভীতি প্রদর্শন করেন। আমি উপায় না পেয়ে মুগদা থানায় গিয়ে জিডি ও মামলা দায়ের করি।এস আই রেজাউল করিম নেতৃত্বে আমার স্ত্রী কে উদ্ধারের দায়িত্ব ও তৎপর জোরদার করলে সুমন আরও হিংস্র হয়ে উঠেন , পরবর্তী পুলিশের সহযোগিতায় খবর নিয়ে জানতে পারি সুমন তার মাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালের বারিন্দায় মুমূর্ষু অবস্থা রেখে পালিয়ে গেছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনার স্থলে গিয়ে দেখি তিনি মুমূর্ষু অবস্থা পড়ে আছেন, মুগদা জেনারেল হাসপাতালের থেকে তাড়াতাড়ি করে ছোট ছেলে আশিকুল হক শুখন ও তার মেয়ে সুবর্না স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে তাকে আই সিও তে নিয়ে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন,সৎ ছেলে মাকে গুম করে রেখেছেন জানতে পারলে আমরা থানা পুলিশকে উদ্ধারের জন্য তৎপর হই বিকটিম হাসপাতালে রেখে চলে যায়। আমরা আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করছি।

আরও খবর

Sponsered content