সারাদেশ

সাতক্ষীরায় সাবেক এমপি রবিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

  প্রতিনিধি ২৯ আগস্ট ২০২৪ , ৩:৫৪:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের জাকির হোসেনকে হত্যার অভিযোগে সাবেক এমপি রবিসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার নিহতের ভাই মৃত কেরামত গাজীর ছেলে আবুল কাশেম গাজী বাদী হয়ে সাতক্ষীরা ১নং আমলি আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত বাদীর অভিযোগটি গ্রহণ করে এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- সাতক্ষীরা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শহরের মুনজিতপুরের মৃত মীর এশরাক আলীর ছেলে মীর মোস্তাক আহম্মেদ (রবি), সাতক্ষীরার সাবেক ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সাতক্ষীরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান, গোয়েন্দা শাখার ওসি মো. মহিদুল ইসলাম, এসআই হাসানুর রহমান, কনস্টেবল মো. আনোয়ার হোসেন, ব্রক্ষ্মরাজপুরের আব্দুর রশিদ গাজীর ছেলে মনিরুজ্জামান তুহিন, জাহানাবাজের মৃত শাহামতের ছেলে আব্দুর রশিদ, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাইফুল করিম সাবু, মাটিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল মাজেদের ছেলে মোক্তার হোসেন, জিয়ালা গ্রামের মৃত মান্দার সানার ছেলে আব্দুস সালাম সানা, দহাকুলার মৃত তায়জেলের ছেলে মাসদ রানা ওরফে কোপা মাসুদ, ভালুকা চাদপুরের মৃত শফি বাবু চৌধুরীর ছেলে ধুলিহর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজান চৌধুরী, শাল্যে গ্রামের মৃত আব্দুল গফ্ফারের ছেলে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, ঘোনার সাবে চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান মোশা ও ধুলিহর ইউনিয়নের সাবে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাবু সানা।

বাদী আদালতে দাখিল করা অভিযোগে উল্লেখ করেছেন- বাদী ও ভিকটিম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সমর্থক। ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বিকাল ৫টার সময় সাতক্ষীরা সদরের মাটিয়াডাঙ্গা বাজারের বিপ্লবের চায়ের দোকানে ভিকটিম জাকির হোসেন তার বন্ধুদের সঙ্গে ক্যারাম বোর্ড খেলছিল।

এ সময় আসামিরা ভিকটিম জাকির হোসেনকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেলযোগে ৫ এবং ৬নং আসামি ও অজ্ঞাতনামা ২-৩ জন সেপাই বিপ্লবের দোকানে উপস্থিত হয়ে বাদীর ভাই জাকির হোসেনকে পিছমোড়া দিয়ে দুই হাতে হ্যান্ড কাপ লাগায়। সেপাই আনোয়ারের গলায় থাকা মাফলার দিয়ে পা বেঁধে মোটা বেতের লাঠি দিয়ে নাকে মুখে, বুকে পিঠে সমস্ত শরীরে মারধর করে। তাদের কাছে থাকা আগ্নেয়অস্ত্রের বাট দিয়ে আঘাত করে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে।

একপর্যায়ে তাকে অপহরণপূর্বক মোটরসাইকেলে উঠিয়ে সাতক্ষীরা অভিমুখে নিয়ে যায়। বাদী এবং সাক্ষীরা থানাসহ ডিবি, সিআইডি অফিসসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে কোথাও সন্ধান পাই নাই। পরে গত ৩ জানুয়ারি অনুমান ৩টার সময় দামারপোতা ওয়াপদা বেড়ির নিচে বেতনা নদীর চরে সব আসামির সহযোগিতা ও প্রকাশ্য ইন্ধনে জাকির হোসেনকে হাত-পা-চোখ বেঁধে দুই রাউন্ড গুলি করে হত্যা করে।

আরও খবর

Sponsered content