প্রতিনিধি ৩ মার্চ ২০২৫ , ৬:৪৪:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
কবির হোসেন,নারায়নগঞ্জ:
সিদ্ধিরগঞ্জে গ্যাসের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ ৮ জন দগ্ধ হয়েছেন। সোমবার (৩ মার্চ) ভোররাতে সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম ধনকুন্ডা শান্তিবাগ এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পাশাপাশি ২টি ঘরে বসবাসরত ৮ জন দগ্ধ হয়েছে। স্থানীয়রা দগ্ধ অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করেছে। দগ্ধরা হলেন- রিক্সাচালক হান্নান (৪০), তার স্ত্রী নুরজাহান লাকী (৩০), মেয়ে জান্নাত (৩), মেয়ে সামিয়া (৯) ও ছেলে সাব্বির (১৬) এবং আরেক পরিবারের পোশাক শ্রমিক সোহাগ (২৩), তার স্ত্রী রুপালি (২০) ও তাদের একমাত্র দেড় বছর বয়সী মেয়ে সুমাইয়া।
জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের পশ্চিম ধনকুন্ডা শান্তিবাগ এলাকায় ইব্রাহিম খলিলের টিনসেড বাসায় ভাড়ায় পরিবার নিয়ে বসবাস করেন রিক্সা চালক হান্নান ও পোশাক শ্রমিক সোহাগ। সোমবার ভোর রাতে হঠাৎ করেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঘরে থাকা দুই পরিবারের ৮ জনই দগ্ধ হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে থাকা বাড়ীর মালিকের স্ত্রী রতœা জানায়, দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছি। এখন তাদের চিকিৎসা চলছে।
তিনি আরও জানায়, ভাড়াটিয়া রুবেল আমাদের না জানিয়ে গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করছে। এতে বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটতে থাকতে পারে। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান গণমাধ্যমকে জানান, হান্নানের শরীরে ৪৫ শতাংশ, নুরজাহানের ২২ শতাংশ, জান্নাতের ৩ শতাংশ, সামিয়ার ৭ শতাংশ, সাব্বিরের ২৭ শতাংশ, সোহাগের ৪০ শতাংশ, রুপালির ৩৪ শতাংশ ও সুমাইয়ার ৪৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। সে আরও জানায়, শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় আটজনের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছে। সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ এর উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানায়, বাড়ির ভিতরে ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়া তিতাসের গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকে ঘরদুটি গ্যাস চেম্বার হয়ে থাকতে পারে। এতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম জানায়, লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্যাস পাইপ দিয়ে বুদবুদ আকারে গ্যাস বের হতে দেখা গেছে। আমরা স্থানীয় এলাকায় ও হাসপাতালে যোগাযোগ রক্ষা করছি।