খেলাধুলা

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে বাংলাদেশের সহজ জয়

  প্রতিনিধি ৭ মার্চ ২০২৪ , ৩:৩৩:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

প্রথম ম্যাচের মতোই আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বড় পুঁজি গড়ার লক্ষ্য ছিল শ্রীলঙ্কার। তবে তাদের কারও ইনিংসই বেশি বড় হতে দেননি বাংলাদেশি বোলাররা। ক্রিজে থিতু হতে যাওয়া প্রায় সব লঙ্কান ব্যাটারদেরই দ্রুত ফিরিয়েছেন তাসকিন-মুস্তাফিজরা। নির্ধারিত ওভারে লঙ্কানদের ১৬৫ রানের মধ্যে আটকে রেখেছিল টাইগাররা। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন দাস এবং সোম্য সরকারের দারুণ জুটতে উড়ন্ত সূচনা পায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক শান্তর ফিফটিতে ১৮.১ তম ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে সহজ জয় পায় টাইগাররা।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আগের ম্যাচের মতোই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেন স্বাগতিক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ফলে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে চারিথ আসালাঙ্কার দল। দলীয় ১ রানেই প্রথম উইকেট হারালেও, সেই ধাক্কা সামলেছেন কামিন্দু-কুশল মেন্ডিসরা। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৭ রান এসেছে কামিন্দুর ব্যাটে। এছাড়া কুশল ৩৬ ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ৩২ রান করেছেন।

এই ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য সিরিজ বাঁচানোর লড়াই, অন্যদিকে আজ জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাবে লঙ্কানদের। সেই চ্যালেঞ্জের শুরুটা ভালো ছিল টাইগারদের। তবে তাতে বড় অবদান শরিফুলের। প্রথম ওভারে তিনি নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে মেডেন নিয়েছেন। পরের ওভারের প্রথম দুই বল ডট দেন তাসকিন আহমেদ। তৃতীয় সিঙ্গেল রান নেন কামিন্দু। তখনও রানের খাতা খুলতে না পারা আভিষ্কা ফার্নান্দোর ওপর বেশ চাপ তৈরি হয়। তাসকিনের কিছুটা লাফিয়ে কোমর সমান ওঠা বলে খেলতে গিয়েই উইকেট দিয়ে ফেরেন আভিষ্কা। ৭ বল মোকাবিলায় কোনো রান না নেওয়া এই ব্যাটার ক্যাচ দেন তাসকিনের হাতেই।

এরপর দুই মেন্ডিস মিলে গড়েন ৬৬ রানের জুটি। দুজনেই চড়াও ছিলেন তাসকিন-মুস্তাফিজের ওপর। মাঝে সৌম্য সরকারকে আনতেই ব্রেকথ্রু পায় বাংলাদেশ। তার ডেলিভারিটা ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে। লেংথ বলে ব্যাট চালিয়ে কট বিহাইন্ড হয়ে যান কুশল মেন্ডিস। কিছুটা বাড়তি বাউন্সেই এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ধরা খেয়েছেন। ফেরার আগে কুশল মেন্ডিস ২২ বলে ৩৬ রান করেন। বড় জুটি ভাঙলেও ব্যাটিংয়ে ঝড় থামাননি কামিন্দু মেন্ডিস। লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন। পরের বলেই অবশ্য পয়েন্টে বল ঠেলে রান নিতে গিয়ে ফাঁদে পড়েন কামিন্দু। সেখানে থাকা শেখ মেহেদীর ছুড়ে দেওয়া বলে অনায়াসে স্টাম্প ভাঙেন রিশাদ। ১০ রানের ব্যবধানে টাইগার ভক্তরা দ্বিতীয়বার উল্লাসে মাতেন। রানআউট হন ২৭ বল মোকাবিলায় ৩৭ রান করা কামিন্দু।

প্রথম ওভারে ১৫ রান দেওয়া মুস্তাফিজ দ্বিতীয় স্পেল করতে এসে সফল। ত্রয়োদশ ওভারে দ্বিতীয়বার বোলিংয়ে এসেই তিনি লেংথ ডেলিভারিতে সাদিরা সামারাবিক্রমাকে ফেরান। ১১ বল ৭ রান করা এই ব্যাটারের ফিরতি ক্যাচ নেন মুস্তাফিজ। এরপর আগ্রাসী ব্যাটিং করেছেন আগের ম্যাচেও লঙ্কানদের বড় পুঁজি এনে দেওয়া আসালাঙ্কা। শেখ মেহেদীর এক ওভারে দুটি ছক্কা মারেন তিনি। এরপর কিছুটা কৌশল খাটিয়ে মেহেদী গতি বাড়িয়ে গুড লেংথে বল ফেললে লঙ্কান দলপতি বোল্ড হয়ে যান। ১৪ বলে তিনি ২৮ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন।

শেষদিকে দাসুন শানাকা ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ৩৭ বলে তুলেছেন ৫৩ রান। তবে সেটি ঠিক শ্রীলঙ্কাকে এক লাফে পার করানোর মতো ছিল না। ২১ বলে ৩২ রান করেন ম্যাথিউস। শানাকা ২০ রান করতে খেলেন ১৮ বল। নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তারা ১৬৫ রান সংগ্রহ করে।

বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট পেয়েছেন তাসকিন, মেহেদী, মুস্তাফিজ ও সৌম্য। উইকেট না পেলেও সবচেয়ে মিতব্যয়ী বল করেছেন শরিফুল। ৪ ওভারে তিনি মাত্র ২০ রান খরচ করেন।

আরও খবর

Sponsered content