জাতীয়

মধ্যপ্রাচ্যে ভাষা না জানার কারণে আমাদের জনশক্তির অপচয় হচ্ছে বলেন : এসডিএফ ড.আব্দুল মজিদ

  প্রতিনিধি ২ নভেম্বর ২০২৪ , ১০:৫৫:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ কুরআন প্রচার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে “মধ্যপ্রাচ্য কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো অপরিহার্য” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
Bengali language courses
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেছেন, আরবি ভাষা শিক্ষার জন্য জনমত সৃষ্টি করা দরকার। মধ্যপ্রাচ্যে ভাষা না জানার কারণে যাতে আমাদের জনশক্তির অপচয় না হয়। মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়া শ্রমিকদের “কাইফা হালুকা, আনা বিখায়ের” শুধু এটুকু আরবি জানলে-ই হবে না, একজন শ্রমিক যাতে আরবি বুঝতে ও বুঝাতে পারে পাশাপাশি লিখতে পারে সেটা জানা খুবই দরকার। এজন্য এখান (দেশ) থেকেই আরবি ভাষা শিখিয়ে পড়িয়ে পাঠাতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জমিজমা বিক্রি করে যেসব শ্রমিক মধ্যপ্রাচ্যে গিয়েই টেনশনে পড়েন কিভাবে সেই টাকা তুলবেন। বিদেশে গিয়ে শুধুমাত্র আরবি ভাষা না জানার কারণে তারা নানা সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। এরপর বিদেশে নানান চড়াই উৎরাই পেরিয়ে দেশের উন্নয়নে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে অবদান রাখা শ্রমিকরা, যখন দেশের এয়ারপোর্টে পৌঁছায় তখন মনে হয় একজন আসামি এসেছে। আমাদের এই মানবিক মূল্যবোধ, সামজিক মূল্যবোধগুলো পরিবর্তন আনা দরকার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আজকের এ সেমিনার। বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত তিনটি ভিতের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেগুলো হলো- রেমিট্যান্স, গার্মেন্টস ও গ্রামীণ উন্নয়ন।
তিনি বলেন, প্রবাসীদের বলা হয় রেমিট্যান্স যোদ্ধা। সত্যিকার অর্থে তারাই আসল যোদ্ধা। আমরা জাতিগত ভাবে স্বাধীনতা লাভ করেছি। তবে অর্থনৈতিকভাবে এখনো স্বাধীনতা অর্জন করতে পারিনি। এজন্য বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক সহ অন্যান্যদের কাছে কম্প্রোমাইজ করতে হয়েছে।
এছাড়াও তিনি বলেন, প্রবাসীরা যে কয় টাকার বেতনে চাকরি করে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি অর্থ দেশে পাঠায়। তারা ওভারটাইম করে বাড়তি আয় করে। বৈদেশিক মুদ্রার পুরোটাই তারা দেশে পাঠায়। প্রবাসীরাই অর্থনৈতিক মুক্তিযোদ্ধা।
সেমিনারে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ কুরআন প্রচার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বিমানের সাবেক উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. তামজিদুর রহমান। এছাড়া মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশ দূতাবাস সৌদি আরবের সাবেক ইকোনমিক কাউন্সিলর ড. মোহাম্মদ আবুল হাসান।

আরও খবর

Sponsered content