| সংবাদ শিরোনাম: |
আগামী সপ্তাহে আমাজন অঞ্চলে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে এখন পর্যন্ত ৬০ জনেরও কম বিশ্বনেতা তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন। এই সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় কম। ব্রাজিল কর্তৃপক্ষ শুক্রবার এ তথ্য প্রকাশ করে।
ব্রাসিলিয়া থেকে এএফপি জানায়, বেলেম শহরে আগামী ১০ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে জাতিসংঘের বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলন- কপ-৩০।
এর আগে ০৬ ও ০৭ নভেম্বর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের জন্য আলাদা শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। আবাসন ব্যবস্থার ওপর চাপ কমাতে এ বছর এটির আলাদা আয়োজন করা হয়েছে। ‘কপ-৩০’ উপলক্ষ্যে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বেলেমেতে অবস্থান করবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
জানা যায়, শহরটিতে মোট ১৪ লাখ লোকের বাস। কিন্তু বাসিন্দাদের অর্ধেকেরও বেশি বস্তিতে থাকেন। আবাসিক হোটেলে কক্ষ ঘাটতির কারণে সম্মেলন আয়োজকরা বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে বাধ্য হচ্ছেন।
এসব ব্যবস্থায় রয়েছে বাড়ি, বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল ভবন। এমনকি দু’টি ক্রুজ জাহাজকেও হারবারে নিয়ে আসা হয়েছে। যদিও এটি সম্মেলন কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) দূরে অবস্থিত। হোটেল ভাড়া ইতোমধ্যেই আকাশছোঁয়া হয়ে গেছে।
অন্যদিকে, ‘কপ-৩০’ ইতিহাসে সবচেয়ে সীমিত অংশগ্রহণের সম্মেলন হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো। পৃথিবীর কার্বন শোষণকারী বনাঞ্চলগুলোর শক্তিশালী প্রতীক আমাজন।
সেই অঞ্চলে সম্মেলন আয়োজনের পক্ষে ফেব্রুয়ারি মাসে নিজের যুক্তি তুলে ধরেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি জানান, অংশগ্রহণকারীরা ‘তারার নিচে ঘুমাতে পারে।’
শুক্রবার পর্যন্ত ৫৭ জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকার প্রধান শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মাউরিসিও লিরিও। তিনি ‘কপ-৩০’ সম্মেলনে ব্রাজিলের পক্ষে প্রধান আলোচনাকারী হিসেবে অংশ নেবেন।
২০২৪ সালে আজারবাইজানে অনুষ্ঠিত হয় কোপ২৯ সম্মেলন। সেখানে ৭৫ জন বিশ্বনেতা উপস্থিত ছিলেন।
যদিও তা ২০২৩ সালে দুবাইয়ের জলবায়ু সম্মেলনের অর্ধেক। এছাড়া, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, কলম্বিয়া, চিলি, কেপ ভার্দে ও লাইবেরিয়ার নেতারা অংশগ্রহণ করবেন বলে এএফপিকে নিশ্চিত করেছে। চীন জানিয়েছে, দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ডিং সিউসিয়াং প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং এর প্রতিনিধিত্ব করবেন। জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুকে বরাবরই গুরুত্ব দেয় না যুক্তরাষ্ট্র ও আর্জেন্টিনা। তাই কাউকে পাঠাবে কিনা তা এখনও জানায়নি।
মোট ১৭০টি প্রতিনিধি দলকে মূল সম্মেলনে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্ব রাজনীতির চলমান অস্থিরতা ‘কপ-৩০’ এর গুরুত্ব কমিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্র : বাসস।