প্রতিনিধি ৯ মার্চ ২০২৪ , ৯:১১:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ
পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে, লাগামহীন বেড়েই চলছে নিত্য পণ্যের দাম; নিম্নবিত্ত মানুষের বোবা কান্না দেখার কেউ নেই। বছরের শুরুতে নতুন সরকার শপথ নিয়েছে। এ সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। নিত্যপণ্যের দাম মানুষের নাগালে আনতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া।
ক্ষমতাসীন দল তাদের নির্বাচনী ইশতেহারেও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জনগণের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বাজারে স্বস্তি ফেরেনি। উলটো রমজানকে সামনে রেখে অধিকাংশ ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। দিন পার হতে না হতে রমজানকে সামনে রেখে অসাধু মুনাফা লোভী একশ্রেণীর ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট বিভিন্ন নিত্যপণ্য মালামাল মজুদ করে নিত্যদিনের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে চলেছে। যার প্রতিকার করার কোন পথ খোলা নেই।
অন্যদিকেজেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিদপ্তরসহ নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয়না। যদিও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে অসাধু মজুদদারদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হলেও অজানা কোন কারণে অভিযান ধমকে দাঁড়ায়। ফলে অসাধু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের হযবরল-কারবারে নিম্নবিত্তের অবস্থা দিনদিন নাজেহাল হয়ে পড়ছে।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, অসাধু মজুদদারগণ সক্রিয় ভাবে নিত্যপণ্যে মালামাল গোপনে মজুদ করে চলেছে। ফলে রমজান মাসে প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্যে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে এতে সন্দেহ করার কোন সুযোগ নেই। অন্যদিকে রমজানকে সামনে রেখে বাজারে কোন কোন পণ্যের দাম বেড়েছে, সেটা এখন হিসাব করা বেশ কঠিন। তবে মোটাদাগে বলা যায়, দাম বেড়েছে প্রায় সব পণ্যেরই।
টিসিবির হিসাবে বাজারে ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত মোটা চাল, প্যাকেটজাত আটা, ময়দা, মসুর ও মুগ ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ ৪ ধরনের মসলা ও ব্রয়লার মুরগি—এই ১৩টি পণ্যের দাম বেড়েছে ৫-১০ টাকা। কোনো ক্ষেত্রে কিছুটা কমেছে আলু ও আটার দাম। বাজারে গত কয়েকদিনে চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। শুক্রবার বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে এ চিত্র দেখা গেছে।
প্রায় সব ধরনের চাল কেজিপ্রতি বেড়েছে ৫ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া আটা-ময়দা ও ডালের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। তেলের দামও লিটারপ্রতি ৪ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, শীত মৌসুমের সব ধরনের সবজি কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।