শফিকুল আলম বলেন, আমরা যেখানে ঋণের জন্য আইএমএফ-এর কাছে হাত পাতছি। আইএমএফ-এর কাছে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ চাচ্ছি। সেখানে মুজিব বর্ষের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট করছি কিছু ম্যুরাল বানিয়ে কিছু স্ট্যাচু বানিয়ে। শুধু মাত্র সরকারি কোষাগার থেকে টাকা গেছে বিষয়টা তা না। অনেক ক্ষেত্রে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানকেও ফোর্স করা হয়েছে ফলে কেউ মুজিব কর্ণার করেছে কেউ মুজিবের ম্যুরাল বানাতে বাধ্য হয়েছেন। মুজিববাদকে সামনে রেখে টাকা খরচের যে একটা উন্মাদনা ছিল। কত টাকা অপচয় হয়েছে তা জানার জন্য ডকুমেন্টেশন করা হবে। এই সিদ্ধান্ত হয়েছে আজকের কেবিনেটে।টাকা অপচয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুজিব বর্ষের নামে যা যা অপচয় হয়েছে তার একটা ডকুমেন্টেশন করা হবে। মন্ত্রণালয়গুলো সেই ডকুমেন্টেশনগুলো করবে। আমরা একটা রিপোর্ট দেখেছি সেটা যাচাই করতে পারিনি। পত্রিকাটি বলছে- চার হাজার কোটি টাকা খরচ করে ১০ হাজার মূর্তি বানানো হয়েছে। আপনারা দেখেছেন কি পরিমাণে একটা অপচয় হয়েছে। একদিকে উনারা হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে মূর্তি বানিয়েছে আবার আইএমএফ-এর কাছে টাকার জন্য হাত পেতেছেন।

মুজিববর্ষে যে সব আমলা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে ডকুমেন্টেশন হোক তার পরে দেখা যাবে কি করা যায়। ডকুমেন্টেশনের পরে দেখতে পাবো কি পরিমাণে অপচয় হয়েছে এগুলো কিন্তু মানুষের ট্যাক্স পেয়ারের টাকা। এটা টাকা কিভাবে ব্যয় হলো অবশ্যই আমরা দেখবো। আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন পদ্মাসেতুতে দুটি ম্যূরালের জন্য ১১৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে চিন্তা করা যায়?
এসময় প্রধান উপদেষ্টা উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদমজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।